অলি আহমদের সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত কর্মীরা

সংবাদ সম্মেলনে জামোয়াতের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলের না, তবে দর্শক সারিতে বেশ কিছু কর্মী ছিলেন৩নতুন নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমদ, বীর বিক্রম। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকাল ৪টার কিছু আগে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে একই গাড়িতে করে প্রেস ক্লাবে আসেন অলি আহমেদ।

এসময় দলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। মঞ্চে অলি আহমদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার নেতা তাসমিয়া প্রধান, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী মুহিব খান।

এরা ছাড়া ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ আর কেউ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। মঞ্চেও জামায়াতের সুপরিচিত কোনও নেতা ছিলেন না। তবে সরেজমিন দেখা যায়, দর্শক সারিতে ছিলেন জামায়াতের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের অনেককেই ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

জামায়াত নেতাদের উপস্থিত না থাকার বিষয়ে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ আসেননি। তবে দর্শক সারিতে তাদের নেতাকর্মীরা ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জামোয়াতের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলের না, তবে দর্শক সারিতে বেশ কিছু কর্মী ছিলেন২সংবাদ সম্মেলনে যখন অলি আহমদ ১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক না বলে ঘোষণা দেন, তখন দর্শক সারিতে থাকা জামায়াত কর্মীরা করতালি দিয়ে সাধুবাদ জানান।

অলি আহমদ বলেন, ১৯৭১ সালের জামায়াত এবং ২০১৯ সালের জামায়াত এক না। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে।

অলি আহমেদের দাবি, জামায়াত নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা দেশপ্রেমিক শক্তি। যারা দেশকে ভালবাসে, দেশকে মুক্ত করতে চায়, দেশবাসীকে মুক্ত করতে চায়, যারাই আমাদের সঙ্গে আসতে চাইবে তাদেরকে আমরা সঙ্গে নেবো। কিন্তু দালাল-বেঈমানদের না।

এসময় মঞ্চে না বসলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি।