এরশাদের মৃত্যুতে ইসলামি দলগুলোর শোক

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে দেশের ইসলামি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো। রবিবার পৃথক শোক বার্তায় এরশাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় এসব দল।

ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর  সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম শোক প্রকাশ করে বলেন, এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময় ইসলাম ও দেশের কল্যাণে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক শোক প্রকাশ করে বলেন, এরশাদ সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা দিয়েছেন, শুক্রবারের দিনকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণাসহ  ইসলাম ও দেশের কল্যাণে অনেক অবদান রেখেছেন যা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর বিনিময় আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।

খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন শোক বার্তায় বলেন, এরশাদ ছিলেন দেশ ও গঠনতন্ত্র রক্ষার পরীক্ষিত সৈনিক ও কল্যাণকামী রাজনীতিবিদ। তার শাসন আমলে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। সাংবিধানিক রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করায় তিনি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এরশাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোট। দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী শোক বার্তায় বলেন, এরশাদ একজন আলোচিত রাষ্ট্রনায়ক ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম, শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণাসহ দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনৈতিক চিন্তাধারা ভিন্ন হলেও আমার পিতা মুফতী আমিনী (রহ.)-এর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-আত্মীয় স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

মাইজভান্ডারি দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী শোক বার্তায় বলেন, এরশাদ ছিলেন জনদরদি দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। দেশের মানুষের ভাগ্য ও সুসম উন্নয়নে তাঁর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্থানীয় শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে তিনি উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। শুধু তাই নয়; ইসলামের উন্নয়নে তিনি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে দেশের মানুষ একজন জাতীয় অভিভাবক, প্রজ্ঞাবান নেতা ও দক্ষ রাজনীতিবিদকে হারালেন; যা কখনই পূরণীয় নয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ হোসাইনী ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ উবায়দুর রহমানও শোক এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।