মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। এই দলকে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জনগণের ধিকৃত দল। এতিমের অর্থ আত্মসাতের কারণে বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া কারাগারে, দলটির আরেক নেতা তারেক রহমান মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক। তারা (বিএনপি) এখনও এদেশে আন্দোলন করার হুমকি দিচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে। যদিও এ স্বপ্ন এখন তাদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’
হানিফ বলেন, ‘আবার তারা (বিএনপি) বলে— আন্দোলন করে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। আমরা বারবারই বলেছি, খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারাগারে। তার মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়া। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা যেতে পারে। দ্বিতীয় আরেকটি পথ আছে। সেটি হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির কাছে তার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তাহলে হয়তো রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারেন। এর বাইরে আর কোনও পথ খোলা নেই।’
বিএনপিকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ধারার রাজনীতিতে আসুন। আইনি প্রক্রিয়ায় আপনাদের নেত্রীকে মুক্ত করার পথ খোঁজেন। এর বাইরে বিকল্প কোনও পথ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ দেশের জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, আওয়ামী লীগের লাখ-কোটি নেতাকর্মী আছে, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে কোনও ষড়যন্ত্র সফল হতে পারে না। কোনও ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগের গায়ে আঘাত হানতে পারবে না। এই বিশ্বাস আমাদের আছে।’
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারাগারে কখনও হা-হুতাশ করেননি। আমি যখন তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম, আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা কারাগারে বসেই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। দেশ পরিচালনার বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই, আজ দেশ উন্নতির শিখরে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।’
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সানিয়া বিনতে মাহতাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।