জানাজার আগে সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে আপনারা যারা এসেছেন সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বাবার সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক ছিল।’ নিজ দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে না পারায় বাবার বুকে চাপা কষ্ট ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে এখানে এসেছেন। ২০১৭ সালে বাবা পাসপোর্ট নবায়ন আবেদন করেছেন কিন্তু সেটা পাননি।’
ইশরাক বলেন, ‘ বাবা বলেছেন তার জানাজা যেন দেশে হয়। আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই বাবার মরদেহ দেশে আনতে সহযোগিতা করার জন্য। বাবা আমাকে বলেছিলেন, আমি বাক্সবন্দি হয়ে দেশে যাবো। ঠিকই বাক্সবন্দি হয়ে আসলো তার দেহটা। এ আমি কখনও ভুলতে পারবো না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকা একজন সর্বজনস্বীকৃত রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি এই দেশ এবং আধুনিক ঢাকা গড়তে কাজ করেছেন। আপনারা সবই তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত দান করেন।’
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেমন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খোকার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে