আব্বাসী-সেলিমের এলডিপির বর্ধিত সভা ৩০ নভেম্বর

আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমদলের করণীয় ঠিক করতে ৩০ নভেম্বর বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবদুল করিম আব্বাসী ও শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। ওইদিনই ঠিক করা হবে, দলটি এলডিপি নামেই রাজনীতির মাঠে থাকবে, নাকি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হবে। ইতোমধ্যে এই উদ্দেশ্যে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাক্ষাৎ করছেন শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ নতুন এলডিপির নেতারা। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নতুন এলডিপির সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি থেকে বেরিয়ে আসায় শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ অন্য নেতাদের ওপর বিএনপি হাইকমান্ড সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ গঠনের পর থেকে অলি আহমদের উদ্দেশ্য নিয়ে তার দলের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মূল দল বিএনপির কৌশল ভিন্ন হলেও জামায়াতকে পাশে বসিয়ে অলি আহমদ বিএনপি নেতাদের সমালোচনা শুরু করেন। বিষয়টি বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সহজভাবে গ্রহণ করেনি।

নতুন এলডিপির সঙ্গে যুক্ত নেতারা বলছেন, তাদের মধ্যে বিএনপিতে যুক্ত হওয়ার চিন্তাটাই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বিএনপির নেতারা চাইছেন, নতুন নেতৃত্বে এলডিপি সামনে আসুক। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে অলি আহমদের এলডিপি থাকলেও জোটের সঙ্গে থাকা না-থাকার বিষয়টি তারা সময়ের ওপর ছেড়ে দিতে আগ্রহী।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আগামীতে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে অন্য শরিক দলগুলোর নেতাদের মতো অলি আহমদকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। একইসঙ্গে আব্বাসী-সেলিমের এলডিপিকেও বলা হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য নতুন এলডিপির নেতৃত্বকে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।

এলডিপির একজন নেতা দাবি করেন, সোমবার রাতেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কয়েকজন নেতা। এর আগে, স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করেন নেতারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর অলি আহমদের নেতৃত্ব অস্বীকার করে আরেকটি অংশের সূচনা করেন আব্বাসী ও সেলিম এই দুই রাজনীতিবিদই অলি আহমদের ঘনিষ্ঠ  ছিলেন। এছাড়া, এলডিপি গঠনকালীন মহাসচিব হিসেবে কাজও করেছেন সেলিম।

জানতে চাইলে সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা আগামী ৩০ নভেম্বর বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ কাউন্সিল করবো।’ সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও তিনি জানান।