বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন, প্রশ্ন জামায়াত নেতার

২১

বিজয়ের প্রায় পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হলেও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

এসময় সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘জাতি হিসেবে যারা আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিতে চায়নি, তারাই এই নির্মম ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের অপশক্তি। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় যে, বিজয়ের প্রায় পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হলেও এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।’

দলের নির্বাহী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘স্বাধীন দেশে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ভাই জহির রায়হানের অন্তর্ধান এখনও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। জহির রায়হান অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বলেই রহস্যপ্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে। তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ, ডকুমেন্টারি-প্রামাণ্যচিত্র সংরক্ষিত থাকার কারণেই তাকে নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।’

সেলিম উদ্দিনের দাবি, ‘‘এসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ পেলে যাদের ‘থলের বেড়াল’ বেরিয়ে আসার আশঙ্কা ছিল, তারাই এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মো. তাসলিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন মোল্লা এবং ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি যোবায়ের হোসাইন প্রমুখ।