মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ২৩ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সুস্পষ্ট হুমকি দেওয়া অমিত শাহের বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘বর্তমান অবৈধ ও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘বাংলাদেশ ও বিএনপি’ সম্পর্কে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পার্লামেন্টে দেওয়া মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও ধর্মীয় বিভক্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্যের পক্ষে অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে অবস্থান নিয়েছেন।’’
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ‘ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশ, বিএনপি ও খালেদা জিয়ার সরকার সম্পর্কে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। ওই প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিসহ বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সব নাগরিক যখন ভারতের লোকসভায় দেওয়া অমিত শাহের বক্তব্য ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেবে বলে প্রতীক্ষা করছে, ঠিক তখনই অমিত শাহের বক্তব্যকে সমর্থন করে বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন করেছেন।’
ভারতের সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ‘নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) ও এনআরসি’ সংকট নিয়ে আবারও বিরোধিতা করে ফখরুল বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিবেকবান মানুষেরা চরমভাবে উৎকণ্ঠিত। বিশেষ করে, ভারত ও বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের সব ধর্ম, বর্ণ, মত ও পথের মানুষ এ আইনের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে।’ তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কোনও বিচারেই বাংলাদেশের মানুষ সমর্থন করতে পারেন না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে একটি কথা সুস্পষ্টভাবে এ দেশের মানুষ বুঝতে পারছে, আওয়ামী লীগের কাছে দেশের স্বার্থ নয়, ক্ষমতাই মুখ্য।’ সেই ক্ষমতা অবৈধভাবে টিকিয়ে রাখতে, তারা জনগণের স্বার্থকে বিদেশি প্রভুদের কাছে বিক্রি করতেও পিছপা হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।’