নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাতার দাবি বিএনপির

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)করোনাভাইরাসের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, 'রিকশা ও সিএনজি চালক, নির্মাণ শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। আমরা মনে করি, নিম্ন আয়ের মানুষদের সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা দেওয়া উচিত। তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ ও বিশেষ ভাতা-বীমার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে, এটা অত্যন্ত জরুরি।'

শনিবার (২১ মার্চ) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

শিল্পখাতে করোনার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইতোমধ্যে গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিদেশে থেকে আসা বিভিন্ন ডিমান্ড বাতিল হয়ে গেছে। এতে করে মালিকেরা ভয়াবহ দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন, যে গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন কীভাবে দেবেন।

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ দাবি করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশঙ্কা করছি, আর যদি একমাস এমন অবস্থা চলে, তাহলে মেবি এ সিচুয়েশন লাইক ফেমিন। কারণ সাধারণ মানুষ তো খাবার পাবে না। এরপর আবার দাম বাড়তে শুরু করেছে। চালের দাম তো বেড়ে গেছে, পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।'

আতঙ্ক না ছড়িয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমান অবস্থা জাতীয় ও বৈশ্বিক বিপর্যয়। সেজন্য দলমত ও জাতি-ধর্ম নির্বিশেষ সব মানুষের প্রতি আমরা আবারও আহবান জানাই, আসুন আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে, সবার এই মনোভাব সৃষ্টি করা প্রয়োজন, যে আমরা এটাকে মোকাবিলা করবো।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক বিপর্যয়কে মোকাবিলা করতে হবে।

এসময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রাক-প্রস্তুতি না থাকার জন্য ‘সরকারের ইচ্ছাকৃত উদাসীনতা ও ব্যর্থতা’কে দায়ী করেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান রেখে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনাদের অনুরোধ জানাবো, দয়া করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়াবেন না। মানুষের এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন।

করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট, চিকিৎসকদের বিশেষ পোশাক সরবরাহ ও প্রশিক্ষণসহ হাসপাতালে এই রোগের আক্রান্তদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান মির্জা ফখরুল।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেন ও সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়. নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।