এলডিপি একাংশের নেতারা বলেন, ‘চলমান মহাদুর্যোগে সরকারি ত্রাণ ক্ষমতাসীনদের বাড়িতে যাচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষাকরণসহ সব ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা ও অপরিণামদর্শিতা আমাদের চিকিৎসক, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং জাতির ভাগ্যকে এক ভয়ঙ্কর অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
নেতারা অভিযোগ করেন, সরকারের ত্রাণগুলো চলে যাচ্ছে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে। সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণ আত্মসাৎ ও চুরিতে মেতে উঠেছে। প্রতিদিন কোনও না কোনও জেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
নেতারা দেশব্যাপী খাদ্য সঙ্কটে পড়া মানুষের কাছে দ্রুত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান। নয়তো সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, খাবার না পেলে জীবিকা অর্জনে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হবেন। শহর থেকে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন, যারা গ্রামকেন্দ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত নন, তাদের কাছে জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে হবে।
সেনাবাহিনীর হাতে ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণ সহায়তার স্বল্পমূল্যের চাল নিয়ে মাঠপর্যায়ের সরকারদলীয় নেতারা কাড়াকাড়ি ও লুটতরাজের উৎসব শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য, এদের দমনে কঠোর হওয়া।