স্বাস্থ্য সেক্টরে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন: খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেনবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা পৃথিবীতেই স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশেও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বাস্থ্য খাতকে আরও উন্নত ও টেকসই করতে হবে।’
শনিবার (১৬ মে) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি কমিউনিকেশন সেল কর্তৃক প্রচারিত ‘প্রাসঙ্গিক সংলাপ’ — প্রথম পর্বের আলোচক হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। সেলের প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন খন্দকার মোশাররফ। বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের সদস্য শামা ওবায়েদ জানান, পর্যায়ক্রমে সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে লাইভে আলোচনা করবেন। আগামী পর্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানে আলোচনা করার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ভবিষ্যতে বিএনপির কী পরিকল্পনা, জহির উদ্দিন স্বপনের এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে সারা পৃথিবীতে স্বাস্থ্য সেক্টরে আমূল পরিবর্তনের একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়বে। আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্য সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার করার পদক্ষেপ নেবো।’

মোশাারররফ
বর্তমান সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী। তার ভাষ্য, ভবিষ্যতে এই ব্যর্থতাগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের করোনা মোকাবিলায় যে যে ব্যর্থতাগুলো এখন উঠে এসেছে, সেখানে আমরা চিহ্নিত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। করোনাসহ অন্যান্য সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। এটা আমাদের চিন্তা, এখন যা প্রয়োজন, সে কর্মসূচি গ্রহণ করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা চিকিৎসক, যারা চিকিৎসায় পড়াশোনা করছেন এবং পাঠ্যসূচিতে নতুন সিলেবাসহ আমূল কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। আমরা সুযোগ পেলে আমরা তা করবো।’
আলোচনায় দেশের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সারা পৃথিবী থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। পরীক্ষা করার বিষয়ে ও প্রাথমিকভাবে ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়ার কথা ছিলো, সে ব্যবস্থাগুলো থেকে অনেক পিছিয়ে আছে।’