বুধবার (২০ মে) রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকায় বিএনপি আয়োজিত ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমার বক্তব্য নাকি ফৌজদারি অপরাধের শামিল। আমি বলতে চাই, আমরা ঝুঁকির মধ্যেও নিজেদের টাকায় সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর আপনারা নির্জন কক্ষে বসে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ তথাকথিত নির্বাচিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মেম্বার ও দলীয় লোকজন চুরি করছে। এটা কোন ধরনের অপরাধের মধ্য পড়ে তা জানালে জনগণ উপকৃত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ, আপনি ও আপনার দলের লোকেরা নির্জন কক্ষে বসে বিএনপির নামে গালাগালি করছেন। আর আমরা ঝুঁকির মধ্যেও মানুষকে সহায়তা করছি। প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ গরিব অসহায়কে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু দেখা গেছে, ২০০ জন লোকের নামের বিপরীতে একটি মোবাইল নম্বর। এখান থেকে কিছু টাকা রেখে দেবেন। এটা কোন ধরনের পৈশাচিকতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ১৩ জন আত্মীয়-স্বজনের নাম। এটা কোন ধরনের ফৌজদারি আইনে বিচার করবেন জানতে চাই।’
বিএনপি অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ত্রাণ দিচ্ছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘মানবকল্যাণের কাজ করলেও সরকার এটা সহ্য করে না, প্রতিহিংসায় ভোগে। কেন বিএনপি গরিব মানুষকে চাল-ডাল দেবে, সহায়তা করবে। তাই কোনও না কোনও দিন আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে অস্বীকার করে। কিন্তু মানুষ দেখছে, পোশাক পরিহিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে আসে। এতে এলাকাবাসী এবং পরিবার আতঙ্কিত হয়। ধরে নিয়ে যাওয়ার একদিন কিংবা দুইদিন পর মিথ্যা মামলা দিয়ে থানায় দেয়। এরপরে কারাগারে পাঠানো হয়।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের উদ্যোগে রূপনগরে আজ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দফতর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।