হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের পাশে আলেম-বক্তারা

ঢাকার শ্যামপুরে হিজড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণহিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের হাতে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন ওয়াজ মাহফিলের সঙ্গে যুক্ত একদল আলেম। বুধবার (২০ মে) ও আগেরদিন মঙ্গলবার (১৯ মে) মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং ও রাজধানীর শ্যামপুরে এই উপহারসামগ্রী বিতরণ করে ইসলামী বক্তা মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহর ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন। বুধবার (২০ মে) সংগঠনের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা ইহসান সিরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

ইহসান সিরাজ জানান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং বেদে পল্লীর প্রায় আড়াইশ’ পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছে ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ ও যুগ্ম-সচিব ইমতিয়াজ উদ্দিন সাব্বিরের নেতৃত্বে এ উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইহসান সিরাজ বলেন, লৌহজংয়ে বেদে পল্লীর আগে রাজধানীর শ্যামপুরে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষজনকে ঈদ উপহার বিতরণ করে ইকরামুল মুসলিমিন ফাউন্ডেশন।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায় বেদে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদ উপহার প্রদানফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহর উদ্ধৃতি দিয়ে ইহসান সিরাজ বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই জনসচেতনতায় স্প্রে করা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ম-কানুন মাইকিং, আলেম হিন্দু রাখাইন-সহ সর্বস্তরের খেটে খাওয়া পরিবার ও মধ্যবিত্ত পরিবারে নগদ অর্থ ও জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। রাস্তার পাশে বসবাসকারী ছিন্নমূলদের জন্য রান্না করা খাবার, ইফতার-সেহরি বিতরণ ও সারাদেশে প্রায় ৭০টি টিম করে করোনায় মৃতের কাফন-দাফনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের কথা কেউ ভাবে না।

কাফন-দাফন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে। আলোচিত পুলিশ উপ-পরিদর্শক সুলতানুল আরেফিনের দাফনকার্যও সম্পন্ন করে জামালপুর জেলা টিম। তবে ঢাকায় আমরা অনুমোদন না পাওয়ায় কাজ করতে পারছি না।