সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্তে দৈনিক কমপক্ষে ৬০ হাজার নমুনা পরীক্ষা ও সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে আইসিইউ-ভেল্টিলেশনের ব্যবস্থা করে করোনা চিকিৎসার উপযোগী করার দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান।
দেশের সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত ও সক্রিয় প্রয়াসই শুধু দেশবাসীকে মহামারির ভয়াল প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পারে বলেও উল্লেখ করেন ২০ দলের সমন্বয়ক।
এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে নিম্নমানের কিট, মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার অসংখ্য রোগী এবং ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবীসহ বহু জনের অকাল মৃত্যুর কারণ হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়া এবং দিন আনে দিন খায় এমন দরিদ্র পরিবারের জন্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহেরও দাবি জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, করোনা সংকটে পাঁচ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বাজেট হটকারী। এই বাজেটে দরিদ্র গণমানুষের কোনও কল্যাণ নয়, ধনবান ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষা করবে। তাই ২০ দল এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে।
জোটের সমন্বয়ক আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশনের ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০’ নামে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ অসময়োপযোগী, অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছে ২০ দলীয় জোট।