ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুদকের মামলা চলছে। এখানে সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করে না। তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কি দেশে দুর্নীতি হয়নি? তাদের কতজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? একজনকেও দেখাতে পারবেন না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তারা নিজেদের নেত্রীর মুক্তির দাবিতে একটা বড় মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা নালিশ আর প্রেস ব্রিফিংয়ের রাজনীতি শুরু করেছে।’
‘বিরোধী দল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। আমাদের পরস্পরবিরোধী রাজনীতির কারণে বিদ্বেষের দেয়াল উঁচু হয়েছে। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতা জানাতে খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা করা তো দূরের কথা, বাসার গেট পর্যন্ত খোলেননি। সম্প্রীতি গড়তে তারা দেননি’—বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝতে পারা তো দূরের কথা, নিজের দলের নেতাকর্মীদের মনের কথাই বুঝতে পারেন না। হঠাৎ রাতের অন্ধকারে দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে তারা কী আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়? এ ধারা কেন বাতিল করা হলো, এর জবাব মির্জা ফখরুল কখনও দেননি। আপনারা (সাংবাদিক) তাকে জিজ্ঞাসা করবেন কেন এমনটা করা হলো।’
সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে, অথচ নির্বাচনের আগে হইচই করলেও ভোটের দিন তাদের মাঠে পাওয়া যায় না। ভোটকেন্দ্রে তাদের এজেন্ট পর্যন্ত থাকে না। তারা অভিযোগ করে থাকেন তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার। আপনারা (সাংবাদিক) তো ভোটের সংবাদ কাভার করতে মাঠে থাকেন, আপনারা কখনও দেখেছেন এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে?’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ।