বিএনপি মহাসচিবের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণ খোঁজা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদসরকারকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের স্ববিরোধী বক্তব্যের পেছনের কারণ খুঁজে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে সরকার আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি একদিকে বলছেন, সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে এবং একদলীয় কায়দায় দেশ চালাচ্ছে আবার অন্যদিকে বলছেন, দেশে সরকার আছে কিনা তিনি অনুভব করতে পারছেন না। তার মাধ্যমে স্ববিরোধী ও অসংলগ্ন বক্তব্য উঠে এসেছে। তিনি কেন এ ধরনের বক্তব্য রাখছেন, সে বিষয়ে বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য।’

জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এবং জনতার প্রত্যাশা নামক দুটি সংগঠন যৌথভাবে আজকের স্মরণসভার আয়োজন করে।

সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি চক্রের নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে—বঙ্গবন্ধুকে তখনই হত্যা করা হয়েছিল—যখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, দেশি ও আন্তর্জাতিক শক্তি তাঁকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং যারা দেশেরও প্রতিপক্ষ, তারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে তারা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

বক্তৃতাকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রিজভী আহমেদ অসুস্থ। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

জনতার প্রত্যাশা নামক সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইন, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরীফুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন পাঠান, নুরুজ্জামান ভুট্ট প্রমুখ।