মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল জনগণের রাষ্ট্র, পুলিশি নয়: রব

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, অসংখ্য মানুষের আত্মদান এবং সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল জনগণের রাষ্ট্র কায়েমের জন্য, পুলিশি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। বর্তমান সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে সংহত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে না দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে।

শনিবার (১ মে) ৬৫ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ জেএসডি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট ‘মহান মে দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।

আব্দুর রব বলেন, পুলিশি রাষ্ট্র জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে সাময়িক নিরাপত্তা দিচ্ছে কিন্তু রাষ্ট্রকে চূড়ান্ত ঝুঁকিতে ফেলেছে। এই নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য শ্রমিক-কৃষক রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেনি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি রাষ্ট্রকে গণবিরোধী রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল দায় এই সরকারকেই নিতে হবে। শ্রমিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় রাজনীতি থেকে দূরে রেখে অগ্রগামী সমাজ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না। তাই শ্রমিক সমাজকেও রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে সাংবিধানিকভাবে অংশীদারিত্ব প্রদান করতে হবে।

আব্দুর রব আরও বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিরস্ত্র শ্রমিকের ওপর পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারে গুলি করে শ্রমিক হত্যার পর সরকার কোন প্রকার দুঃখও প্রকাশ করেনি। এমনকি কোন তদন্ত কমিটি গঠনের প্রয়োজন মনে করেনি। বরং পুলিশ আবার শ্রমিকদেরকে অবৈধ অস্ত্রধারী হিসাবে চিহ্নিত করে হত্যার জন্য শ্রমিকদেরকেই দায়ী করছে। পুলিশি রাষ্ট্র না হলে সরকার এত শ্রমিক নিহত এবং আহত হওয়ার পরে নিশ্চুপ থাকার কথা নয়।

শ্রমিক জোটের সভাপতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহউদ্দিন আহমেদ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টুর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডি নেতা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, তৌহিদ হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি ব্যারিস্টার ফারাহ খান, এম এ আউয়াল, এবিএম জামাল উদ্দিন প্রমুখ।