ঢাবিতে ‘মিনি আদালত’ বন্ধ না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে: রব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে “ছাত্র নির্যাতন” ও কথিত “মিনি আদালত” দ্রুত বন্ধ না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে।’ রবিবার (১৩ মার্চ) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

জেএসডি সভাপতি রব বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর নির্মম “নির্যাতন” ও মিনি “আদালত” বসার সংবাদ প্রকাশের পরও কোনও প্রতিকার না হওয়ায় প্রমাণ হয়, প্রজাতন্ত্রে যেন কোনও সরকারের অস্তিত্ব নেই। প্রমাণ হয়, প্রজাতন্ত্রে এমন কোনও প্রতিষ্ঠান নেই, যে প্রতিষ্ঠান নির্যাতন এবং “মিনি আদালত” বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। আইন লঙ্ঘনে প্রতিকারের দ্রুত ব্যবস্থা না থাকলে যে ভয়াবহতা ও ধ্বংসলীলার উদ্ভব হবে তা নিয়ন্ত্রণের কোনও ক্ষমতা রাষ্ট্রের থাকবে না। বেআইনি “মিনি আদালত” অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণ সংবিধান, আইন ও শৃঙ্খলা মান্য না করে নাগরিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকা শুরু করবে। তখন সেই নৈরাজ্য প্রতিকারের সক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতছাড়া হয়ে যাবে।’

রব আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গেস্টরুমের “মিনি আদালতে” প্রতি রাতেই বসে কথিত বিচার, হয় নির্যাতন। এখানে দুটি পক্ষ। এক পক্ষ যারা ছাত্র সংগঠনের নামে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দলীয় অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় ঘুম থেকে তুলে এনে রাতভর নির্যাতনসহ অনেক ঘটনার সাক্ষী এই মিনি আদালত। আর এই আদালতের আসামি হচ্ছেন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা। এই অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত কয়েক মাসে হল ছেড়েছেন প্রায় ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী। এমনটিই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র।’

রবের অভিযোগ, সরকার গেস্ট রুম নির্যাতন এবং ‘মিনি আদালত’ বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। একটি ছাত্র সংগঠনের অনৈতিক বেআইনি স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড প্রশ্নহীন ও প্রতিবাদহীন আনুগত্য দিয়ে প্রশ্রয় দেওয়া সরকারের কর্তব্য হতে পারে না।

তিনি মনে করেন, ছাত্রদের ওপর ‘নির্যাতন’ ও ‘মিনি আদালত’ বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা উচ্চতর আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট তার স্বীয় এখতিয়ার প্রয়োগ করে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিকারের নির্দেশনা প্রদান করলে এই সঙ্কটের সমাধান হতে পারে।