যাদের সক্ষমতা বেশি তারা কর দেয় না: মতিয়া চৌধুরী

যাদের কর দেওয়ার সক্ষমতা বেশি তারা দেয় না দাবি করে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, অতি ধনী ও ধনী ব্যবসায়ীরা কর অব্যাহতির জন্য যে আকুল আবেদন ছাপান এগুলো বন্ধ করুন। মঙ্গলবার সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, কঠিন সময় মোকাবিলায় অর্থমন্ত্রী একটি বাস্তবধর্মী বাজেট দিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি সচল আছে। এক সময়ের বিশ্বের দশম দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন ৪১তম অর্থনীতির দেশ। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তিনি রাজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা কর দিতে পারে তারা দেয় না। আর যারা দেয় তাদের ওপর করভার বেশি হয়।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বলছেন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ফেরিগুলোর কি হবে? ইতিমধ্যে অনেক সংসদ সদস্যই চাহিদা দিয়েছেন। কক্সবাজারের মহেশখালী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, পিরোজপুর-বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী-দশমিনা এসব জায়গায় ফেরি সার্ভিসের বিষয়ে স্টাডি করেছি। কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী এলাকায়, পাবনা-রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল এসব এলাকায় ফেরি সার্ভিস দিয়ে মানুষকে সেবা দিতে চাই।

পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম থেকেও ঢাকার সঙ্গে কম দূরত্বের পায়রা বন্দর দেশ পেতে যাচ্ছে বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তার মধ্যে সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী তার এলাকার কিছু দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন ‘ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’। সদরঘাট কিন্তু এই অবস্থায় নাই। এখান মানুষ বলে ‘দেখতে হলে ফিটফাট চলে যাও সদরঘাট’। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন।

বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিতে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে তার বিরোধিতা করে  গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, এই প্রস্তাব অনৈতিক ও বেআইনি। দেশদ্রোহীদের পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়া সমর্থন করা যায় না। বিদেশে যাতে টাকা পাচার না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।