এক এক করে দলগুলো বিএনপিকে তালাক দিচ্ছে: নানক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘বিএনপি বলে ভয় পেয়ে আমরা তটস্থ হয়ে গেছি। কোথায় সেটা বলুন মির্জা ফখরুল? আপনারা যদি ১০ কিংবা ৫০ জনকে জনগণ মনে করেন তাহলে ভুলের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন। কেবল শুরু হয়েছে, এক এক করে দলগুলো (জোটের) আপনাদের বিদায় দিচ্ছে। আপনাদের তালাক দিয়ে দিচ্ছে। দলের ভেতরের তালাক যখন শুরু হয়ে যাবে তখন মির্জা ফখরুল দিশাও পাবেন না। দলের ভেতরে যারা মুক্তিযুদ্ধের শক্তি রয়েছে তারাও খালেদা-তারেককে তালাক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে সোমবার (২৯ আগস্ট) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে নানক বলেন, ‘আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া। মির্জা ফখরুল, আপনাদের নেতা এই কাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। সেই হত্যাকারীদের নিয়ে দেশে ফ্রিডম পার্টি নামে দল গঠন করেছিলেন। মেজর ডালিম তার এক সাক্ষাৎকারে কীভাবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত তা ফাঁস করে দিয়েছিলেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতালিপ্সু খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক বাংলাভাইদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এক আগস্টে শেখ হাসিনাকে হামলা, আরেক আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল।’

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করেছেন। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, রফতানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জিডিপি বেড়েছে। তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। জয়-লেখকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যেকোনও দুর্যোগে সবার আগে সামনে থেকে কাজ করছে। সব আন্দোলন ও সংকটে বুক পেতে দিয়েছে ছাত্রলীগ।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘সারা দেশে শিক্ষাঙ্গনগুলো সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের উপকারে থেকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে ছাত্রলীগ।’

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, জাবি ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরসহ জাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।