সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বিএনপির জন্য ভালো হবে না: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘হেফাজতের মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন করতে সরকার বিএনপিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো আবদ্ধ জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা বিএনপির জন্য ভালো হবে না। বেহেশতের কথা বলে সরকার দেশকে দোজখে পরিণত করেছে। উন্নয়নের কথা বলে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে এসেছে। লুটপাট করে দেশকে ফাঁকা করে ফেলেছে। তাই দুর্ভিক্ষের আগে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে।’

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দিন, তারিখ ঠিক করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আজ থেকে গণঅধিকার পরিষদ ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিচ্ছে। কে ক্ষমতায় আসবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, সেটা নিয়ে আলোচনার সময় এখন না। দেশের জনগণ আজ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। তাই যার যা কিছু আছে, তা নিয়েই ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সরকার অসংখ্য আলেম-ওলামা ও রাজনৈতিক নেতাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে রেখেছে। তাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদেরও এখন হয়রানি করছে। এই সমাবেশ থেকে আমি অবিলম্বে আলেম-ওলামাসহ রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দাবি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের কষ্ট বাড়ছে, এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে মানুষের কষ্ট তত বাড়বে। তাই এ সরকারকে বিদায় দিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে। এই সরকার যতই প্রলোভন দেখাক, গণঅধিকার পরিষদ কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আঁতাত করবে না, কোনও ষড়যন্ত্রে পা দেবে না। মানুষের আস্থা রক্ষা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনাই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য।’

গণঅধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান, ব্যারিস্টার জিসান মহসিনসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।