সংকট নিরসনে কাউন্সিল করবে গণঅধিকার পরিষদ

চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল করবে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী ১০ জুলাই এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (১ জুলাই) এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নুর রুটিন মাফিক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, ২৫ জুন গঠনতন্ত্রের ৩৮ ধারা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের ৮৪ সদস্যের সইসহ আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের কাছে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহ্বায়ক জরুরি সভা আহ্বান করেন।

ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও সদস্যরা উপস্থিত হন। তবে সভা ডেকে আহ্বায়ক অনুপস্থিত থাকেন। তাই উক্ত সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সদস্য সচিব মো. নুরুল হক নুর সভা সঞ্চালনা করেন।

সভায় গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮, ১৮ (গ)-এর (১) (৩) ও (৮), ৩৪(ঙ) এবং ৪১-এর ক্ষমতাবলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে শনিবার ড. রেজা কিবরিয়া নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি সভায় অংশ নেননি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, আমি নিজেও সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সোর্স থেকে জানতে পারি ভিপি নুর একই সময়ে আরও তিনটি সভা ডেকেছেন। আরও জানতে পারি কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী ও বহিরাগত লোক এনে কার্যালয়ের আশপাশে জড়ো করেছেন। কার্যালয়ের ল্যান্ড ওনার্স আমাকে রাতে অবগত করেছেন বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন। এসব ঘটনা স্পষ্টতই একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্য মনে হওয়ায় নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমি রাস্তা থেকে ব্যাক করে চলে আসি।