এখন জেগে ওঠার সময়: শেখ পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, রাজনীতিতে পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নাই। আমাদের এই সময় পরিশ্রমী কর্মীবাহিনী একান্ত প্রয়োজন। ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া পদ সর্বস্ব রাজনীতির দিন শেষ। এখন জেগে ওঠার সময়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) শ্যামপুর থানার সম্মুখে বালুর মাঠ রাস্তায় শ্যামপুর-কদমতলী থানার অন্তর্গত ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৬০ ও ৬১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের সেই রকম আজকের প্রজন্মের নেতা-কর্মী দরকার যারা স্বপ্রণোদিতভাবে সক্রিয় থেকে নতুন ভোরের আলো ছড়াবে, নবসম্ভাবনা জাগ্রত করবে, নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। জনবিচ্ছিন্ন এবং নিষ্প্রভ কর্মীবাহিনী আমাদের কাম্য না। আমাদের কাম্য সেই নেতৃত্ব যারা নদীর মোহনা থেকে সাগর ডেকে এনে জনসমুদ্রতে রূপান্তরিত করবে। নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের আজকের প্রত্যাশা। এই ওয়ার্ড সম্মেলনের মাধ্যমে আপনারা সেই নেতৃত্ব সৃষ্টি করবেন যাদের ডাকে জনসমুদ্র সৃষ্টি হবে, যে পর্বতসম বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে পাহাড় চূড়ায় ওঠার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বের সেই ভিত্তি আপনাদেরই সৃষ্টি করতে হবে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি কঠোর পরিশ্রম করে রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে হওয়া সত্বেও একজন কর্মী হয়ে পায়ে হেঁটে রাজনীতি করেছেন। কোনোরকম জাঁকজমক বা জৌলুস ছিল না তার আচার-আচরণ, চাল-চলনে। অতি সাধারণ জীবন যাপন করেছেন; পোশাক-আশাক, বেশ-বাস, চাল-চলনেও ছিল অতি সাধারণ এবং সাধারণ মানুষের কাতারে মিশেই তিনি রাজনীতি করেছেন।’

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওয়ার্ড পর্যায়ের যে নেতৃত্ব সৃষ্টি করবে সেই নেতৃত্ব আমাদের সুখী-সমৃদ্ধ, শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। তার হাত ধরেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত রাষ্ট্রে। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের যুবকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রথমত, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদেরকেই রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে যেন এই নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার আবারও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে। সেই লক্ষ্যে আমাদের ৩টি কাজ করতে হবে। প্রথমত, সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াবার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ এবং গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা।