আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে গণজমায়েত কর্মসূচি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশ নিতে আসছে সাধারণ মানুষ। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টা থেকে গণজমায়েত শুরু হয়। দুপুরের চরম তাপ উপেক্ষা করেই আসতে থাকে মানুষ। এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে; লীগ ধর, জেলে ভর; ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ; দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক; আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর করতে হবে; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। এছাড়াও থেমে থেমে চলছে গান ও কবিতা আবৃত্তি।
গণজমায়েতে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, ইনক্লাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিসহ অনেকে উপস্থিত রয়েছেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি। আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় তারা বাংলাদেশি শক্তি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে। আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত ও পথ আলাদা হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত ও পথ এক।’
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) রাতে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ছাত্র-জনতার তিন দফা দাবি হলো, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।