‘নেতা-কর্মীদের তোপ এড়াতেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে বিএনপির কাউন্সিল’

ড. হাছান মাহমুদবিএনপির কাউন্সিলের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেখানে কাউন্সিল করতে রাজি হয়নি। কারণ সারাদেশ থেকে আসা নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়তে পারেন খালেদা জিয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘মীর কাশেম আলীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কাউন্সিল প্রসঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিল করলো না, কারণ সেখানে তারা বিপুল লোকের সমাগমও ঘটাতে পারবে না। তাই তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে কাউন্সলের জন্য বেছে নিয়েছেন।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন,‘আসন্ন বিএনপির এ কাউন্সিলের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দলের নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের সুশীল সমাজের ভূমিকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘যখনসারাদেশে নির্মমভাবে শিশু নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে,তখন সুশীল সমাজ চুপ? আজকে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না?’

ক্ষোভ প্রকাশ করে হাছান মাহমুদ বলেন,‘এই সুশীল সমাজ আজকে কেন মুখে কুলুপ এটে দিয়েছেন? কেন এই সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে তারা কোনও কথা বলছেন না?’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়ের কারণে দেশে আজকে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতন ঘটনা বেড়েছে।’

যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধী তারা আদালতের কাছ থেকে কোনওভাবে অনুকম্পা পাবে না। যারা জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে কাজ করছে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী। বাংলাদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদের ও খালেদা জিয়াকেও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

 মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহম্মেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

 এসআইএস/ এপিএইচ/