জাপার নির্বাচনি পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি: রওশন এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। এটা জাতীয় পার্টির অগণিত নেতাকর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বর্ধিতসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রওশন এরশাদ বলেন, পল্লীবন্ধুর নীতি-আদর্শ, চেতনা-প্রেরণা, ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায় তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না।

জাতীয় পার্টি নেতাদের অভিভাবকহীন রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারপরও আমি সব কিছু মেনে নিতে পারতাম- যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা আমি কীভাবে মেনে নেবো?

জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনও ষড়যন্ত্র, কোনও বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে মন্তব্য করে রওশন এরশাদ বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অশনি সংকেত শোনা যাচ্ছে। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে তাহলে দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। দ্রব্যমূল্য এখনই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান কাজ হবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্য়ায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, জাপার মূখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, সাবেক এমপি আবুল কাশেম সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান প্রমুখ।