লোগোতে আছে, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এর পাশে লাল-সবুজের পতাকা এবং বিএনপির নির্বাচনি প্রতীক ধানের শীষ। কাউন্সিল উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে সাদা টি-শার্ট। এগুলো কাউন্সিল নেতাকর্মীরা পরবেন। এ টি শার্টের ডানদিকে আসন্ন কাউন্সিলের লোগো, বামদিকে ২০১৩ সালের প্রস্তাবিত লোগো রয়েছে।
লোগো উন্মোচনকালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা অন্ধকারে আছি, আলোতে যেতে চাই। কোথাও কোনও গণতন্ত্র নেই। আমরা এবার কাউন্সিলের মাধ্যমে সেই গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা, এ কাউন্সিলের মাধ্যমে ত্যাগী, পরীক্ষিত যোগ্য ও পোড় খাওয়া নেতারা যোগ্যতা অনুযায়ী পদ পাবেন। অতীতে যারা ব্যর্থ হয়েছেন, অবশ্যই সেই পদ থেকে তাদের অপরাসরণ করে যথাযোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, প্রতি তিন বছর অন্তর দলের কাউন্সিল হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমরা ২০১৩ সালে সব প্রস্তুতি নিয়েও কাউন্সিল করতে পারিনি। ওই সময়ে কাউন্সিলের ঠিক আগমুহূর্তে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ রাতের অন্ধকারে তল্লাশি চালিয়ে একশ ৫৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, ওই কাউন্সিল আমাদের করতে দেওয়া হয়নি। ওই সময়ে কাউন্সিলের জন্য তৈরি লোগো সংবলিত টি-শার্ট প্রস্তুত করা হয়, যা আমরা এবার ব্যবহার করছি ২০১৬ সালে কাউন্সিলের লোগো পাশে রেখে।
প্রচার উপ-কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এ সময় বলেন, আমরা আজ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি। ১৯ মার্চের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সর্বশেষ তথ্য এ অ্যাকাউন্টে পাওয়া যাবে। একাউন্টটি হচ্ছে, https: facebook.com/bnpcouncil
অনুষ্ঠানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে কাউন্সিলের লোগো, পোস্টার ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করা হয়। একদলীয় গণতন্ত্র, রাজনৈতিক অসমতা, দুর্নীতি, দুঃশাসন, মিথ্যা প্রভৃতির অবসানে তৈরি স্লোগান ও পোস্টার এসময় প্রদর্শন করা হয়।
কাউন্সিল উপলক্ষে দলের ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য আলাদা পোস্টার ও স্লোগান তৈরি করা হয়েছে। যুবদল—তারুণ্যে যারা অকুতোভয়, তারাই আনবে সূর্যোদয়। কৃষক দল—ফলাব ফসল গড়ব দেশ গণতন্ত্রে বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধা দল—মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র মুক্ত করো গণতন্ত্র। শ্রমিকদল—শ্রম দিয়ে শিল্প গড়ব, দেশের আঁধার ঘুচিয়ে দেব। মহিলা দল—চেতনায় নারী, বিপ্লবে নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমরাই পারি। ছাত্রদল—বাঁচতে চাই পড়তে চাই, দুর্নীতি মুক্ত দেশ চাই। স্বেচ্ছাসেবক দল—আলোর দিন দূরে নয়, করতে হবে আঁধার জয়। জাসাস—গাইব মোরা গণতন্ত্রের গান, দুঃশাসনের হবেই অবসান। তাঁতিদল—শক্ত হতে বাঁধো তাঁত, কাটাতে হবে আঁধার রাত। মৎস্যজীবী দল—জালের টানে ঘুচবে আঁধার, বাংলাদেশ সবার এবং উলামা দল—জিয়ার আর্দশে দেশ গড়ব, ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া প্রমুখ।
/এসটিএস/এমএনএইচ/