মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সাক্ষাৎ?

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের। গতকাল রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে তাদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে মির্জা ফখরুল বাম, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে চিকিৎসার কাজে ঢাকাত্যাগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব। সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে কয়েকদিন তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন।

সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ প্রতিবেদককে সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘ওরকম কিছু না। কিন্তু বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তো আমরা আছি। এরশাদের সময়ও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হতো।’

বিশিষ্ট এই বাম রাজনীতিক বলেন, ‘আমি মনে করি আলোচনা করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও। তাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে হবে।’

সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল মূলত রাজনৈতিক নেতাদেরকে এক-এগারোর অভিজ্ঞতা; অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে যাওয়া; যুগপতের বাইরের দলগুলোকে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যুক্ত করা’র বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারস্পরিক মত-বিনিময় করেছেন।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘নিষ্কণ্টক সহযোগিতা’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। সেদিন মির্জা ফখরুল বৈঠক থেকে বেরিয়ে নিজেও মন্তব্য করেছেন, ‘আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘কতগুলো কাজ করতে হবে সরকারকে, কতগুলো জায়গায় সংস্কার আনতে হবে; সেগুলোর জন্য সময় লাগবে, সেটা তিন মাসও লাগতে পারে, ছয় মাসও লাগতে পারে। বিষয়টা হচ্ছে, আগে সুনির্দিষ্ট করতে হবে, কী কী সংস্কার করতে হবে, সেটাতে কেমন সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়গুলো ফর্মুলেট করতে হবে। আবার তাড়াহুড়োও করা যাবে না। আমাদের চিন্তা আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছি।’