বাংলাদেশে আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘জিয়া আন্ত-থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর দুটি খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আমিনুল হক বলেন, ‘অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যেখানেই তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে, যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করবে এবং ষড়যন্ত্র করবে— তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাই রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী প্রেতাত্মা ষড়যন্ত্রকারীদের কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না।
আমিনুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিস্টের উপাধি পেয়েছে, সেই ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি করার কোনও অধিকার নাই। কারণ তারা গত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। গত ১৭ বছরে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও আজ্ঞাবহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতায় বসেছিল।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ছিল এবং জনগণকে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনও অধিকার তাদের নাই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে আমিনুল হক বলেন, আপনারা দেশের জনগণের ভাষা বুঝে, সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে সুসংগঠিত করেন। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া ও প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই জনগণের সরকারই আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করবে।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি এ দেশের সাধারণ মানুষের দল। সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করে। বিএনপি জনগণের ভাষা বুঝে রাজনীতি করে, বিএনপি সেই দল। সবাইকে নিয়ে দেশ চালিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের প্রতি সাধারণ মানুষের যে ভালোবাসা ছিল, সেজন্য প্রেসিডেন্ট জিয়া জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী। আপস না করার কারণে তাকে কারা অন্তরীণও থাকতে হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছেন। জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আফাজ উদ্দিন, হাজী ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, আশরাফুজ্জাহান জাহান, শামীম পারভেজ, হাফিজুল হাসান শুভ্র, হাজী নাসির উদ্দীন, তাসলিমা রিতা, দারুসসালাম থানা বিএনপি আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু প্রমুখ।
পল্লবী থানা ও খিলক্ষেত থানার মধ্যকার খেলায় পল্লবী ৭-০ গোলে এবং তুরাগ থানা ও দারুসসালাম থানার মধ্যকার খেলায় দারুসসালাম ১-০ গোলে জয়ী হয়।