নেতা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভেঙে গেল জাসদ

190951indeসরকার ও ১৪ দলে থাকা নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধের জের ধরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বিভক্ত হয়ে গেল। এই বিভক্তির  জন্য দলের একাংশ অপর অংশকে দায়ী করেছে।

জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন বর্জন করে দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ  সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।

অন্যদিকে রাত ১১ টার দিকে মহানগর নাট্যমঞ্চে কাউন্সিলের মাধ্যমে একাধিক প্রার্থী না থাকায় হাসানুল হক ইনুকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী থাকায় গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। 

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হাবিবুর রহমান শওকত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে এই প্রতিবেদককে জানান, ভোটগ্রহণ শেষে সাধারণ সম্পাদক পদে শিরীন আখতার জয়ী হন।নাজমুল হক এই পদে অন্যতম প্রার্থী ছিলেন। 
জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে ১ হাজার ২০৫ জন কাউন্সিলর এতে অংশ নেন।

গত  শুক্রবার বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পরপর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার ছয় বছর পর সম্মেলন হচ্ছে। ২০১০ সালের ৭ ও ৮ জানুয়ারি দলটির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ছিল কাউন্সিল অধিবেশন।

সম্মেলন উপলক্ষে জাসদের সরকার বা ১৪ দলে থাকা উচিত কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেতাদের একাংশ।

জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক আহমেদ এ বিষয়ে দলের সব কাউন্সিলরের কাছে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, তিনি মনে করেন ১৪ দল ও সরকার থেকে জাসদের বেরিয়ে আসা উচিত। এছাড়া তার মত, মন্ত্রী হলে কেউ দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাসদের নতুন সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমার মত হচ্ছে, ১৪ দলকে শক্তিশালী করতে জাসদকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রেখে রাজনৈতিক সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু দলে গণতন্ত্র চর্চা থাকতে হবে। এটা নেই বলে আমরা কাউন্সিল বয়কট করেছি।

এমএসএম