২০২৪ সালের পর বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি টিকবে না : নাসিম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।আর সেটি হলে দেশে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি টিকে থাকবে না।কারণ,আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জামায়াতের মতো বিধ্বংসী ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা জনগণের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মফিজুর রহমান,বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক,আওয়ামী লীগ সদস্য কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ,সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন,ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান,সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন,‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। দেশ স্বাধীন হলেও আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম চলছেই। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।যার নেতৃত্বের অন্যতম লক্ষ্য ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা।’
ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন,‘দেশ থেকে চক্রান্তকারীরা এখনও বিতাড়িত হয়নি। বেগম জিয়া এখনও চক্রান্ত করছেন।বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যেমন চক্রান্ত হয়েছে,এখনও শেখ হাসিনাকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে। আর এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে ছাত্রলীগকে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।’




আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ছিল অনেক দূরহ,অনেক পিচ্ছিল।বিভিন্ন সময় তাকে সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এপথ অতিক্রম করতে হয়েছে।তবুও তিনি দমে যাননি।ষড়যন্ত্রকারীরা তার নামে মামলা দিয়েছে,তাকে হত্যারও চেষ্টাও করেছে। তবুও নেতা শেখ মুজিব তার নিজস্ব স্বার্থের কথা না ভেবে দেশের স্বার্থে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।তারপরও এদেশেরই কিছু দুষ্কৃতিকারী নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের লোভে বঙ্গবন্ধুর মত মানুষকে হত্যা করেছে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নানক বলেন,‘বিভিন্ন সময় ওই দলের মির্জা সাহেব ঘোষণা দিচ্ছেন কাউন্সিলের পর জেগে উঠবেন তারা।কিন্তু প্রশ্ন হলো,জেগেই যখন উঠবেন তখন ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন কেন।আজ  যাদের কারণে আপনাদের এই ঘুমিয়ে পড়া সেই খালেদা ও তারেককে দল থেকে সরানোর চূড়ান্ত সময় এসে গেছে।’

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন,‘একাত্তরে এদেশ যখন তার সঙ্কটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু তখন তার নেতৃত্বগুণ দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়,এদেশের সকল মুক্তির আন্দোলনের প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু।তাই তাকে অধ্যয়নের জায়গায় আনতে হবে।আর সেটি করতে পারলে এখনকার তরুণদের মধ্যে থেকেও বঙ্গবন্ধুর মতো ত্যাগী ও সাহসী নেতৃত্বের জন্ম হবে।’

 

কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘এখনকার তরুণরা শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে।কিন্তু তারা সে আদর্শের সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রাখে না। সুতরাং তাদেরকে আগে বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন করতে হবে।’  

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন,‘একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করায় বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা আমাদের তরুণদের আগে জানতে হবে।পরে তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যে কাজগুলো অসমাপ্ত রয়ে গেছে সেগুলো সমাপ্ত করতে হবে।’

এসআর’/এমএসএম