নীতি-নির্ধারণী নেতাদের মতে,এবারের সম্মেলনের মূল ‘স্পিরিট’ থাকবে ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে যে ইশতেহার নিয়ে আওয়ামী লীগ জাতির সামনে হাজির হবে তার একটা ‘গাইড লাইন’ এর মধ্যদিয়ে নির্ধারিত হবে। তাই এ সম্মেলনের গুরুত্ব অনেক। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়াই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। তাই এ সম্মেলনে নেতা বানানোর বিষয়টি একটু ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে। এখানে সততা, মেধা ও যোগ্যতা বেশি বিবেচনায় নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির নেতারাই প্রাধান্য পাবেন বেশি। কারণ তারা অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তবে কিছু নতুন মুখও থাকবে কমিটিতে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০/১১ জুলাই আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত এ তারিখ সামনে রেখে প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরেশোরে। প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়করা প্রায় প্রতিদিনই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি মিটিং করছেন।
তবে সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা বললেন উল্টো কথা। তারা বলেন, কমিটিতে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান কমিটিতে থাকা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা বাদ পড়ার যেমন সম্ভাবনা ক্ষীণ, তেমনি এক ঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব আসবেন এমন সম্ভাবনাও কম। কমিটিতে রয়েছেন এমন নেতারাই ঘুরেফিরে বেশি থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তবে কোনও কোনও নেতার পদের রদবদল হবে। কারও পদোন্নতি হবে, কারও ‘ডিমোশন’ হবে।
আরও পড়ুন:
ওইসব নেতারা আরও বলেন, কমিটি থেকে একেবারে বাদ পড়ার সম্ভাবনা মাত্র কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। সেই সংখ্যা বড় জোর ৫/৬জন। সভাপতিমণ্ডলীর ২জন, সম্পাদকমণ্ডলীর ২জন ও কেন্দ্রীয় সদস্য ২জন এ তালিকায় থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকজন নতুন মুখ কমিটিতে স্থান পেতে পারে। তবে এদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে থেকে। এছাড়া কমিটির পরিধি বাড়ানো পদগুলোতে নারী নেতার আর্বিভাব ঘটবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সম্মেলনে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কিছু রদবদল হতে পারে। ৪/৫জন নতুন মুখ নেতা হতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছু নারী নেতৃত্ব বিভিন্ন পদে আসতে পারেন। কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবরও একটু বাড়বে।
আরও পড়ুন:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে পদোন্নতি পাওয়ার জন্যে বেশি আশাবাদী হওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হওয়ারও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন এখানে যোগ্যতা-দক্ষতার মূল্যায়ন হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করলে অবশ্যই পদোন্নতি হবে। আবার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বাদ পড়তে হবে।
জানতে চাইলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলন। আমাদের সরকারের অন্যমত লক্ষ্য সমৃদ্ধ দেশ গড়া। এটা করতে এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ‘স্ট্র্যাটেজিক্যাল’ গাইড লাইন ঠিক করা হবে। তবে কমিটিতে কে আসবে আর কে বাদ যাবে এটা একমাত্র কাউন্সিলরা ঠিক করবেন, তা এখনই বলা সম্ভব হবে না।
/এমও/ এমএসএম /আপ- এপিএইচ/