যে ফল আসুক আ. লীগ তা মেনে নেবে: ওবায়দুল কাদের

নাসিক নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলননারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন শান্তিপুর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,জনগণ যে রায় দেবেন আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে নাসিক নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে নাসিক নির্বাচন এক নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘এ জন্য নারায়ণগঞ্জ বাসীকেই সবার আগে ধন্যবাদ জানাই।’
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘ভোগ গণণা চলছে। ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। যে ফলাফলই আসুক তা আমরা মেনে নেবো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণকে প্রতিশ্রুদি দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমরা সে কথা রেখেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠ নির্বাচন আয়োজনে স্বাধীনতা দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও উৎসবমমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়ী হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা রাখি সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়ী হবেন।’
এবারই প্রথম বিএনপি কোনও নির্বাচনকে সুষ্ঠ উল্লেখ করেছে, বিষয়টা কিভাবে দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটাই শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব। তিনি জনগণের মানস কন্যা সেটা তিনি প্রমান করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, মোহিবুল চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহার গোলাপ, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় নাসিক নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এবারই নাসিক নির্বাচন দলীয় ব্যানারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হলেও মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা এবং বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। জাতীয় পার্টি কোনও প্রার্থী দেয়নি। দলটি ডা. আইভীকে সমর্থন করেছে।  আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতী এজাহরুল হক (মিনার) মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের প্রার্থীরা ফল মেনে নেওয়ার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপি নির্বাচন বর্জন না করার ঘোষণাও দিয়েছে।

নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৩৮জন ও ২৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হলেও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে। তবে দুই দলের মনোনীত প্রার্থী রয়েছেন সব ওয়ার্ডেই।

/আরএআর/এএ/