সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেড়বছর পর জাতীয় নির্বাচন, এ ধরণের হামলা নির্বাচনের অন্তরায়। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতি হুমকি। দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে ‘ডিস্টার্ব’ করে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উগ্র সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘এটা জাতির জন্য চ্যালেঞ্জ। এখানে দল-মত খণ্ডিত চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল করি, কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। দেশ যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আপনি-আমি কেউ নিরাপদ নয়। নিরাপত্তার স্বার্থে অপশক্তিকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বিশ্বাস করি আমরা পাক হানাদার বাহিনীর মত এ অপশক্তিকেও পরাজিত করবো।’
আইনশৃঙ্খলাবাহিনী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের কারণে জঙ্গিরা তাদের টার্গেট করছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে চান্দিনা, এরপর ফেনী, সীতাকুণ্ড হয়ে আশকোনায় আমাদের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর আত্মঘাতী হামলা করেছে। তারা বাংলাদেশে একটি স্থিতিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।’
জঙ্গি হামলায় দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি হলি আর্টিজান ঢাকার চেহারা পাল্টে দিয়েছিলো। আমাদের জীবনের ওপর প্রভাব পড়েছিল। এ ধরণের হামলায় বিদেশিরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। যে কারণে মেট্রোরেলের মত একটা প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘উগ্রবাদীরা মাঝে কিছু সময় বিরতিতে ছিল। তখন আমিসহ অনেকেই বলেছিলাম তারা বিরতি নিচ্ছে কিন্তু ভেতরে আরও বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা এখন আমাদের স্বাধীনতার মাসকে বেছে নিয়েছে।’
জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেল্প সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, একমি ল্যাবরেটরির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিনহা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন আহমেদ মুকুল প্রমুখ।
/ইএইচএস/এমও/