শামীম ওসমানের ভাষ্য, ‘আমাকে ফোন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘটনাস্থলে যেতে বলেন, তাই আমি সেখানে গিয়েছি। আমি না গেলে গতকাল সেখানে অনেকের অস্তিত্ব থাকতো না। আমি যাওয়ার পর সেখানে কোনও ঘটনা ঘটেনি। একটা ইটও পড়েনি।’
আওয়ামী লীগের এই রাজনীতিবিদের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই হকারদের পুনর্বাসন করতে বলেছেন আগে। তারপর উচ্ছেদ করতে বলেছেন।’ এরপর তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘তাদের পুনর্বাসন না করে কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে?’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি এখানে গরিব মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের জন্য রাজনীতি করে যাবো।’
ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া এলাকায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মেয়র আইভী, সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। এদিন দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নগরীর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে সড়কের ফুটপাথগুলো হকারমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন মেয়র আইভী। এই সিদ্ধান্তে হকাররা প্রতিবাদ জানালে তাদের সমর্থন জানান শামীম ওসমান। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য রাখার ঘটনাও ঘটে। সবশেষ মেয়র আইভী নগরীর ফুটপাথ থেকে হকারদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিলে তাদের আবারও ফুটপাথে বসানোর ঘোষণা দেন শামীম ওসমান। এর প্রতিবাদে নগর ভবন থেকে পায়ে হেঁটে মেয়র আইভী তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলসহ চাষাঢ়া এলাকায় আসেন। তারা মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে সামনে এলে শামীম ওসমানের সমর্থক ও হকাররা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে।