আমরা জানি আরও আন্দোলনের চক্রান্ত চলছে: ওবায়দুল কাদের

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের, ছবি: ফোকাস বাংলাসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা জানি আরও আন্দোলন করার চক্রান্ত চলছে। গোপনে গোপনে দেশে-বিদেশে এ নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ঠ সতর্ক ও প্রস্তুত আছি।’

শনিবার (১৮ আগস্ট) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘গুজব সন্ত্রাস-অপপ্রচার রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সরকার উৎখাতে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র, আগুন-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও এবং গুজব-অপপ্রচার নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখন প্রস্তুত। আমরা জানি, আরও এরকম আন্দোলন করার চক্রান্ত হচ্ছে। গোপনে গোপনে বৈঠক হচ্ছে দেশে-বিদেশে। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ঠ সতর্ক ও প্রস্তুত আছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের অফিস সক্রিয় থাকে। প্রতিদিন আমরা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করি। কোনও বিষয়ে আমাদের যদি ঘাটতি থাকে নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেই এবং এগিয়ে যাই।’

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির শেখ হাসিনার কার্যালয়ে হামলার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বারবার অফিস থেকে ফোন করে নেত্রীকে বলেছিলাম, পার্টি অফিসের গেটে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসছে। ওরা আক্রমণ করবে, আমরা কী করবো? নেত্রী বললেন, মার খাও কিন্তু উত্তেজিত হওয়া চলবে না। নেত্রী যদি এই ধৈর্য ধরার পরামর্শ না দিতেন, ছাত্রছাত্রীদের ওপর বলপ্রয়োগ করা যাবে না  পুলিশকে যদি এই নির্দেশনা না দিতেন তাহলে কী পুলিশ ধৈর্য ও সংযম দেখাতে পারতো?’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি আন্দোলনকে হিংসাত্মকভাবে ভয়াবহ রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার যে বিপজ্জনক এজেন্ডা, সেই এজেন্ডাকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সৎ সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে একজন স্ট্রেটসম্যান, চিন্তানায়ক ও রাষ্ট্রনায়কের মতো মোকাবিলা করেছেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পার্টি এখন রিঅ্যাকটিভ পার্টি, প্রোঅ্যাকটিভ পার্টি। আমাদের পার্টি যদি প্রোঅ্যাকটিভ না হতো তাহলে আমরা হেরে যাওয়া চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিততে পারতাম না।’

তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের ওপর বিএনপি ও তার সাম্প্রদায়িক দোসররা ভর করেছিল। লন্ডন থেকে নির্দেশনা এসেছে। ভয়ঙ্কর আরও কিছু হতে পারতো কিন্তু সরকার নাইসলি পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করেছে এবং সেটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বর্তমান নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসলে তারা নির্বাচনে আসবে।’

এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া একটি সাংবিধানিক বিধান। এই প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার কোনও সুযোগ নেই। বিএনপির নেতাদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া বদলানোর দাবি মামাবাড়ির আবদার।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন দলের উপ-প্রচার  ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।