লক্ষ্যমাত্রার আগেই আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো: পাটমন্ত্রী

লক্ষ্যমাত্রার আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে ব্যবসা করতে গিয়ে বিদুৎ পেতাম না। বিদুৎ ছাড়া শিল্পায়ন হয় না। শেখ হাসিনা সরকার এসে সেই বিদুতের সমস্যা সমাধান করছেন। এখন আর লোডশেডিং হয় না। 

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্রে ধারাবাহিকতা ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভা তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, শেখ হাসিনা সেটা করেছেন। এই বিদ্যুতের কারণে আজ চারদিকে উন্নয়ন আর উন্নয়ন। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করায় দেশে শিল্পায়ন হয়েছে। এই শিল্পায়নের কারণে দেশে অর্থায়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আমাদের মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন। ইনশাল্লাহ, আমরা চাচ্ছি- তার (শেখ হাসিনা) জীবদ্দশায় এদেশকে যেন উন্নত রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যেতে পারি।

শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের স্মৃতিচারণ করে পাটমন্ত্রী বলেন, তিনি মাঠে থেকে সংগ্রাম করেছেন। মাঠে থেকে সংগ্রামের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ওনার এই ত্যাগের কারণে তৎকালীন স্বৈরশাসকের ভিত নড়ে গিয়েছিল। ফলে সেদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি বড় মাপের একজন নেতা হয়েও সবসময় মাঠে সংগ্রাম করে গেছেন।

আলোচনা ও স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিনের কন্যা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, শহীদ মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন শুধু রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি বিশ্বমানের সমাজসেবক ছিলেন। তার হাত ধরে এ দেশে রেড ক্রিসেন্ট এসেছে। পরিবার পরিকল্পনার মতো প্রকল্প তিনি যুদ্ধের পরপরই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সে বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এদেশে মাইক্রো ক্রেডিট-এর ধারণা তিনি করে গেছেন। তবে তা ড. ইউনুসের মতো না। তিনি বিনাসুদে মাইক্রো ক্রেডিট চালু করতে চেয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, শহীদ ময়েজউদ্দিন যখন কাজের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন তখনই তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের ১৩ জনের ১২ জনই পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতা হয়েছিল। আল্লাহতায়ালা মহান ব্যক্তিদের অসম্পূর্ণ কাজগুলো তাদের রক্ত যাদের মাঝে বহমান তাদের দিয়ে আদায় করে নেন। তাই তো শেখ হাসিনা যেমন বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তেমনি আমিও আমার পিতার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পেয়েছি।

আলোচনা ও স্মরণসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন ।