মনোনয়ন ফরমে অ্যানালগই রয়ে গেলো আওয়ামী লীগ

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার আওয়ামী লীগ। অথচ দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া হচ্ছে অ্যানালগ পদ্ধতিতে। ডিজিটাল যুগে কেন ফরম হাতে হাতে জমা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও।

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার শেষ দিন ছিল বুধবার (২০ অক্টোবর)। ফরম তুলতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সহস্রাধিক নেতাকর্মী তথা চেয়ারম্যান প্রত্যাশীরা ভিড় জমিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। 

সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ছিল উপচেপড়া ভিড় ও যানজট।

কক্সবাজারের চকোরিয়া থেকে ঢাকায় আসেন রিপন মিয়া। তিনি একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই। বুধবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পদ্ধতিটা ডিজিটাল হলে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঢাকায় আসার দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’ মঙ্গলবার রাতে বাসে রওয়ানা হয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারারাত ঘুমাইনি। ভোরে ঢাকায় পৌঁছেই চলে আসি ধানমণ্ডি। এখানে এসে যে ভিড় দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে আরও কয়েকঘণ্টা লেগে যেতে পারে।’

মাগুরা থেকে আসেন প্রিন্স নামের এক মনোনয়ন প্রত্যাশী। বুধবার দুপুরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে ফরম কেনা ও ই-মেইলে জমা দিতে পারলে এত ভিড় হতো না। খরচ কমতো। কষ্টও কমতো।’

রংপুর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সরদার বাচ্চু ঢাকায় আসেন ফরম তুলতে। ষাটোর্ধ্ব সরদার বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও শেষ হয়নি। ধানমণ্ডির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতো না।’

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী জাফরউল্যাহ এবং দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর দুজনই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামীতে মনোনয়ন ফরম অনলাইনে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’