‘বক্তব্য পরীক্ষা করেই জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কার করা হয়েছে’

গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তার বক্তব্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বৈঠকে গোটা হাউস শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছে। সবাই একবাক্যে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক থেকে তো বটেই, প্রাথমিক সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এখন গাজীপুরের পুরো কমিটি থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজনের জন্য কি আর পুরো কমিটি ভেঙে দেওয়া যায়।’

বৈঠকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা নির্বাচন সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউপিতে যারা বিদ্রোহী ছিল বা বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছিল তাদের সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে। অনেক নাম এসেছে। বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আগে যে সিদ্ধান্ত ছিল সেটাই থাকবে। যারা মদত দিয়েছে—সেসব জেলার নেতা, উপজেলা নেতাদেরও শাস্তি পেতে হবে। এমনকি জনপ্রতিনিধি বা মন্ত্রী হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রতীকবিহীন হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, হয়তো কোনও বিশেষ এলাকায় হতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে উন্মুক্ত করার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।