জিয়া খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান সত্যি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের রক্ষা করতো না। তিনি বলেন, জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে, তাহলে সে খুনিদের বিচার কেন করেনি? তাদের বিচার করতে তার কী সমস্যা ছিল? সে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করেছিল।’

সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ আয়োজিত কেআইবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি বলে জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সে কি স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল? অবশ্যই তার কর্মকাণ্ডে সেটি প্রমাণ হয় না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে। তারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। তারা কখনও চায় না দেশের মানুষ ভালো থাকুক। তারা শুধু চায়—যেকোনও মূল্যে ক্ষমতায় যেতে। তারা এখন দেশে-বিদেশে সবখানে ষড়যন্ত্র করে। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ছিল ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট কেক কাটা শুরু করলো। এর কারণ, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী। গোটা জাতির শোকের ও বেদনার দিনে এরা আনন্দ করে। বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করেছেন, আর খালেদা জিয়া পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি। সে স্বাধীনতা চায়নি। কতটা খারাপ মনমানসিকতার হলে এভাবে কারও শাহাদাতবার্ষিকীতে আনন্দ উল্লাস করতে পারে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানোর সব চেষ্টাই করেছে জিয়া। তাদের রক্ষায় জিয়া ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিল। জিয়া দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। পরবর্তীকালে স্বৈরশাসক এরশাদ ও খালেদা জিয়াও খুনিদের বাঁচানোর সব আয়োজন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আগমনের মধ্য দিয়ে তিনি খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে এসেছেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অশুভ শক্তির উত্থান করে নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং সবাইকে একসঙ্গে এদের প্রতিহত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি দেশে খুনের রাজনীতি করে, তাদের আমরা উপযুক্ত জবাব দেবো। কেউ যদি আমাদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে চায়, আমরা তাদের উপযুক্ত জবাব দেবো।’

নাছিম বলেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বেই সংকট চলতেছে। এ সংকট আর বেশি দিন থাকবে না। আমরা আরও উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবো।’