প্রস্তুত হোন, খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি আবারও ধরা খাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সময় ঘনিয়ে আসছে। বিএনপি আবারও ধরা খাবে। খেলা হবে, রাজপথে হবে, আন্দোলনে হবে, নির্বাচনে হবে, মোকাবিলা হবে। প্রস্তুত হোন, খেলা হবে। 

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশব্যাপী পাঁচ শতাধিক জায়গায় সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। তারপর থেকে দিনটি সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় নাকি মাটি নেই। এই যে জনতার ঢল, শেখ কামালের মাজারে, বঙ্গমাতার মাজারে, বঙ্গবন্ধুর মাজারে, এই ঢল বিএনপি কোনও দিন দেখেনি। কী নিয়ে খেলবেন? গতবার জগাখিচুড়ি জোট নিয়ে  ধরা খেয়েছেন মির্জা ফখরুল সাহেব। বিএনপি এবারও ধরা খাবে।

ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, সেখানে আমরা জয়লাভ করবো। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। উন্নয়ন এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

সভাপতিমণ্ডলী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত যে জায়গায় সন্ত্রাস করবে সেই জায়গায়ই প্রতিরোধ, প্রতিহত করা হবে। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বাহিনী আবার পথে নেমেছে। আজ থেকে আমরাও মাঠে নামলাম। এই অপশক্তি বাংলাদেশকে আক্রান্ত করতে দেওয়া হবে না।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিএনপি-জামায়াতকে বিতাড়িত করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত এ দেশের রাজনীতিতে অপশক্তি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।