মির্জা ফখরুল দেখতে ভদ্রলোক, কিন্তু অন্তরে বিষ: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তাকে (মির্জা ফখরুল) দেখতে ভদ্রলোক, কিন্তু তার অন্তরে বিষ আর বিষ। এতো মিথ্যাচার করতে পারেন। সেরা প্যাথলজিক্যাল লায়ার, সেরা মিথ্যাবাদী।’

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ওয়ারিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি, বেপরোয়া চালক কোথায় চলছে; খাদে পড়ে গেছে বিএনপির আনা তোরণ। মরা গাঙে আর জোয়ার আসবে না।’

দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে; হাস্যকর, লজ্জা শরম নেই। দুর্নীতিবাজ বিএনপি নেতাদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। শেখ হাসিনা চুরি থেকে দেশকে বাঁচিয়েছেন। রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক করেছেন।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে— একটি রাজনৈতিক দলের নেতা কেমন করে এমন মিথ্যাচার করতে পারে? শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, মেট্রোরেল হতো না। ফখরুল সাহেব, (শেখ হাসিনা) আপনাদের মতো চুরির চিন্তা করেন না, জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। চুরির চিন্তা করলে হাওয়া ভবন হতো, তার সন্তানরা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না।’

রাজনীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংকটে কষ্ট পাচ্ছে জনগণ, তাই শেখ হাসিনা বেশি দামে কিনে কম দামে পণ্য দিচ্ছেন। রোজায় যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য খাদ্য নিরাপত্তা বলয় বর্ধিত করেছেন। একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। পরমাণু বোমা ছাড়া পাকিস্তানের সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকস বাংলা)

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় গেলে দেশকে আবার দেউলিয়া করবেন, সেটা হতে দেবো না। তারেক কোটি কোটি টাকা পাচার করবে। এই অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিদের হাতে যাবে দেশ। বিএনপির দুটি গুণ— দুর্নীতি আর মানুষ খুন।’

বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পায়ের তলায় মাটি থাকলে নির্বাচনে এসে প্রমাণ করেন। ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে পারবেন না। প্রমাণ করতে নির্বাচনে আসুন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।