দুটি কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে: তথ্যমন্ত্রী

দুটি কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা আজ তলানিতে গেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এর একটি হচ্ছে—গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করছে, সেটির প্রতিবাদ পৃথিবীজুড়ে হয়েছে, এমনকি অনেক ইহুদিও সেটির প্রতিবাদ করেছে—শুধু বিএনপি ও জামায়াত সেটির প্রতিবাদ করেনি। এ বিষয়টিতে দেশের সব মুসলমানকে তারা আহত করেছে। তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে। আর অপরটি হলো—ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়িঘোড়ার ওপর হামলা পরিচালনা করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যেভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো গুপ্তস্থান থেকে অনলাইনে গাড়িঘোড়া পোড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, এরপর তো মানুষের কাছে যাওয়ার কোনও সুযোগ তাদের নেই। তারা জানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের ভরাডুবি হবে। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করছে, বিএনপি নেতা রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে বলেছেন, ‘তারা নির্বাচন হতে দেবে না’, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, ২০১৪ সালেও নির্বাচন প্রতিহত করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল।  নির্বাচন প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্রের যাত্রাকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল, তারা পারেনি। ২০১৮ সালেও সেই অপচেষ্টা ছিল, সেটিও পারেনি। এখন বিএনপির শক্তি, সামর্থ্য, ক্ষমতা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক কম।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাঝে মধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে বাস, গাড়িঘোড়া পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে—এগুলো কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি এখন আসলে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নেই। সবার বিরুদ্ধে তো ওয়ারেন্ট নেই। কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ, তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে, এ জন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহসটা তাদের নেই। প্রকাশ্যে আসার সেই সাহসটা নেই।’

বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, গতকাল (বুধবার) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সুতরাং, এগুলো করে বিএনপির কোনও লাভ হবে না।’

নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবেন।’