বাড়াবাড়ি করলে রাজপথে তাদের শায়েস্তা করা হবে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সন্ত্রাসীদের দমন করুক এটি আমরা চাই। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের (বিএনপি) কীভাবে রাজপথে শায়েস্তা করতে হয় আওয়ামী লীগ সেটা জানে। প্রয়োজনে সরকারের পাশে থেকে এই সন্ত্রাসীদের দমন করবে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গৌরব ’৭১ ও স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরম আয়োজিত ‘হরতাল-অবরোধ-আগুন সন্ত্রাস: বন্ধ হোক এই অপরাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তারা ভেবেছে, বাসে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়েই নির্বাচন বানচাল করা যাবে। সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশেই হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ কারণে এই সন্ত্রাসীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করুক এটি আমরা চাই। কিন্তু তারা যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে সরকারের পাশাপাশি রাজপথে তাদের শায়েস্তা করবে আওয়ামী লীগ।’

বাসে-ট্রেনে আগুন দেওয়া, মানুষ আহত করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমাদের যেসব ভাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের এবং দেশবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, বাসে আগুন দিয়ে রাষ্ট্রীয় কাজ থামানো যাবে না। বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন দেওয়া, মানুষ আহত করা, এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়– এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এই কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করেই বিচার করা হবে। কার গায়ে কোন রাজনৈতিক সিল আছে এটা দেখার বিষয় নয়। তারা সন্ত্রাসী, তাদের সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচিত করা হবে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন ‘আরেকটি দল, যাদের আমি কখনোই রাজনৈতিক দল মনে করি না, সেটা হলো ধর্মভিত্তিক জঙ্গি দল জামায়াতে ইসলামী। যারা ১৯৭১ সালে তাদের জঙ্গিপনা দেখিয়েছিল হত্যা-খুন করে। পরবর্তী সময়ে তাদের এই কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা আছে। এই জঙ্গি দলটা আর বিএনপি এখন নতুনভাবে জঙ্গি দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা কঠিনভাবে দমন করেই এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই, যারা পেট্রোল দিয়ে বাসে আগুন দেয় বা যারা এসব করার পরিকল্পনা করে তাদের সন্ধান পাওয়া মাত্রই নিকটস্থ থানায় বা পুলিশের কাছে জানান অথবা আমাদের জানান। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে সেখানে পাঠিয়ে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দেবো।’

এ সময় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে সহায়তা করবেন। একইসঙ্গে তাদের নির্ভয়ে থাকতে আশ্বস্ত করেন তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন– প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস খান, গৌরব ’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহিন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বাসের মালিকরাও বক্তব্য রাখেন।