মাদকবিরোধী অভিযানের নামে মানুষ খুনের উৎসব চলছে: রিজভী

রুহুল কবীর রিজভী (ফাইল ছবি)আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দল নিধনের জন্যই মাদকবিরোধী অভিযানের নামে দেশে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ খুনের উৎসব চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বেআইনি হত্যার মাধ্যমে দেশবাসীকে আতঙ্কিত করার ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। আর তা হলো—একটি রক্তাক্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়া, যাতে তারা অবৈধ সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়।’
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সকাল ৯টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, `জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজলকে গত দুদিন ধরে খুঁজে পাওয়া পাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই তাকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তার সহকর্মীরা আশঙ্কা করছে। আমাদেরও বিশ্বাস এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি আওয়ামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। পুরনো কায়দায় বিরোধী দল নিধনের হাতিয়ার হিসেবে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সে সরকারবিরোধী আন্দোলনের একজন তরুণ নেতা। ’
রিজভী আরও বলেন, ‘গতরাতেও মাদক নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমগুলো, সোশ্যাল মিডিয়াসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বেআইনি মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা করলেও এখনও থামছে না হত্যা। গতকাল বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদক ব্যবসার চেয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা ভয়ঙ্কর অপরাধ।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করাই বর্তমান সরকারের নীলনকশা। সুতরাং ওই নির্বাচনের আগে যদি মাঠ সমতলের বদলে রক্তাক্ত থাকে, তাহলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে সাহস পাবে না। মূলত দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ অনিশ্চিত করে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশের জনপদের পর জনপদ রক্তাক্ত করা হচ্ছে।’