মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রুমে তেলাপোকা, ছারপোকা—এটা কমন ব্যাপার। আরও আছে বড় বড় বিছা। তিনি তো এসব দেখতে অভ্যস্ত নন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো কারাগারের পরিবেশ নিয়ে অনেকবার বলেছি। একটা পরিত্যক্ত, ঝরাজীর্ণ দেড় শ-দুই শ বছরের পুরনো কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে। যেটা কোনও সভ্য সমাজে রাখা হয় না। একেবারেই নিঃসঙ্গ, তিনি ছাড়া কোনও বন্দি সেখানে নেই।’
সরকারের নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন ‘আপনারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই আচরণ কেন করছেন? এটা তো সভ্য আচরণ নয়। এটা অসভ্য বর্বরদের আচরণ। তিনি একজন রাজনৈতিক বন্দি। তার সঙ্গে রাজনৈতিক আচরণ করুন।’
নিজের কারাজীবনের অভিজ্ঞতার তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আমি প্রথম ২০১২ সালে কারাগারে যাই। আমার মনে আছে, একটি রুমে আমি ও দাদা (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) ছিলাম। আমাদের পাশের রুমে ছিলেন আন্দালিব পার্থ ও শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। হঠাৎ রাত্রিবেলা চিৎকার করে উঠেছেন পার্থ, ‘চাচা আমি তো আর বাঁচবো না।’ কেন কী হয়েছে—জানতে চাইলে ‘এত বড় বিছা এখানে।’ সেই পুরো রাতে আন্দালিব পার্থ চৌকির ওপর বসছিলেন। এটা বাস্তবতার কথা বলছি। আপনারা দেখবেন পুরনো ইউরোপের ছবিতে যে চিত্র দেখা যায়, এখানে সেই অবস্থা।’’