ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে বিএনপির নীরব হাসি

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভীবিএনপির জনসভা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে নীরব হাসি ছাড়া আর কিছু বলার নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিএনপির জনসভা মহাসাগরে পরিণত হয়েছিল। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতি প্রমাণ করে তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে। এর উত্তরে নীরব হাসি ছাড়া আর কিইবা করতে পারি আমরা।’

সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘রবিবারের জনসভায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। রমনা পার্কসহ আশপাশের রাস্তাঘাট, মোড় ও ফুটপাত মানুষে ঠাসা ছিল। মিছিলে মিছিলে কেঁপেছে ইট, পাথর কংক্রিটের রাজপথ। জনসভার আঙ্গিক বিস্তৃত হয়ে মহাসমাবেশে পরিণত হয়। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাবেশের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্ভট কথার শেষ নেই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এখন হতভাগ্য দেউলিয়াগ্রস্ত। সেজন্যই খাপছাড়া কথা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জনসভায় বিপুল সমাগম দেখে সরকারের কাঁপুনি ধরে গেছে। সেজন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক হারে গ্রেফতারকে সরকার রক্ষাকবচ মনে করছে।’

ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে ঢাকার ভেতরে ও আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘মারধরের ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরীর প্রবেশপথ আগলে রাখে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী ক্যাডাররা। বিএনপির লোক সন্দেহে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।’

বিএনপির জনসভাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তার একটি তালিকাও তিনি সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন। এ সময় রিজভী গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে জনসভা সফল করতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।