খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশ কেনা ও তুলতে কত টাকা লাগে, সেটা দেখলাম। এখন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের পর্দা কেনার দুর্নীতি, এটাকেও হার মানিয়েছে। বর্তমান সরকার একটা অস্বাভাবিক সরকার।’ তিনি বলেন, ‘এক সেট পর্দা কিনতে নাকি ৩৭ লাখ টাকার ওপরে লাগে! কেন? কারণ, সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে, কোনও বিচার নেই, রিজার্ভ লুট হচ্ছে কোনও বিচার নেই।’
ঋণখেলাপিদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন যারা বালিশ আর পর্দা কেনার দায়িত্বে রয়েছেন, তারা মনে করছেন, গত ১০ বছরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে গেছে। আমরা কিছু করি না কেন? তো তারা এই বালিশ আর পর্দা কেনার জন্য করছে। এটা জাতি ও দেশের জন্য অত্যন্ত অশনিসংকেত।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি ভোটের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।’ আমি মনে করি, ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ রাতে আওয়ামী লীগ সারা জীবনের জন্য ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় হয়ে গেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার আর মুখ নেই। তারা নিজেরা বিদায় হয়ে গেছে। এটাও ইতিহাসে সত্য, যা মোছা যাবে না।”
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আযাদ প্রমুখ।