খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে কবে নাগাদ সরকারের কাছে আবেদন করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘কবে নাগাদ আবেদন করবো, তা এখনও ঠিক করিনি। কারণ, এভাবে বেশি দিন চললে খালেদা জিয়াকে জীবিত অবস্থায় বাসায় নিয়ে যেতে পারবো না। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
এর আগে বিকাল ৩টায় খালেদা জিয়ার জন্য বাসায় রান্নাকরা খাবার, ফল ও ফুল নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারীদের মধ্যে সেলিমা ইসলামসহ আরও ছিলেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও ছেলে অভিক ইস্কান্দার, ভাই সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার। তবে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি ফাতেমা রেজা এলেও সাক্ষাৎকারের তালিকায় নাম না থাকায় তিনি দেখা করতে পারেননি।
খালেদা জিয়ার সারাক্ষণ বমি করছেন উল্লেখ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘তার গায়ে জ্বর আছে। ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিতে হবে। এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার হাসপাতালের ডাক্তার তাকে দেখছেন। কিন্তু যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাতে কোনও কাজ হচ্ছে না। তার যে অবস্থা, এর চেয়ে উন্নত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। তার শরীর খুবই খারাপ। আজকেও তার ডায়াবেটিস ১৫ ছিল। এভাবে আর কতদিন চলবে? এই হাসপাতালে তো আজ প্রায় ১ বছরের কাছাকাছি হয়ে যাচ্ছে।’
বিএসএমএমইউতে যে চিকিৎসা চলছে, তাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না অভিযোগ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘দিন দিন তার অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। এজন্য আমরা চাই উন্নত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হোক। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।’ শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন না বলেও তিনি দাবি করেন।