খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

আগের অবস্থাতেই আছেন বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে তার হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় হাসপাতাল থেকে খোঁজ নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতের মতোই অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ রয়েছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন।

দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে হাসপাতাল এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী ও অনুসারীরা বুধবার সকাল থেকেই ভিড় করেন। কেউ-কেউ অতি উৎসাহে লাইভও করছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১১টা ১২ মিনিটে খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার কেবিন ব্লকের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে খালেদা জিয়ার হিমোগ্লোবিন কমে যায়। চিকিৎসকেরা রক্ত দেওয়ার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।’

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকজন নেতাও বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে চলে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, শহিদুল ইসলাম, শামসুদ্দিন দিদার। তবে নিয়মিত পরিদর্শনে এদিন রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ওই সময় বিএনপি মহাসচিব এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি প্রায় এক ঘণ্টা ছিলাম ম্যাডামের সিসিউতে। সেখানে ডা. এফএম সিদ্দিকীসহ অন্যান্য চিকিৎসকেরা আছেন। বিকালের দিকে ম্যাডামের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় শরীরের অবস্থা ফ্লাকচুয়েট হয়েছিল। পরে রক্ত দেওয়া হয়েছে। এখন আগের অবস্থাতেই আছেন তিনি।’ 

এদিকে, বুধবার সকালে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার বিষয়ে কর্মসূচি ও এ বিষয়ক দলের অবস্থান নেতাদের সামনে তুলে ধরতে যৌথ সভা ডেকেছে বিএনপি। বেগম জিয়ার ইস্যুতে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে যৌথ সভা করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।