বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করবেন না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনাদেরকে (সরকার)  সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের নতুন সরকার নির্বাচিত করবে। তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, হামলা করছেন। এগুলো করবেন না। এগুলো করে বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে পদত্যাগ করানো হবে।’

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফখরুল বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে বোমা মারছে। সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আসলে সরকারের কোমর সোজা নাই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না, সেজন্য আজ বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদ করতে পারছে না।’

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশতিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের (বিএনপির) কাজ হচ্ছে— জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় শক্তি যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’

এসময় সব রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা আমাদের সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশ আত্মাকে বিসর্জন দিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম মজনু এবং আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।